What is Cryptocurrency: ক্রিপ্টোকারেন্সি আসলে কি? জানেন কোন কোন ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সি হয়?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

what is cryptocurrency: ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একপ্রকার ডিজিটাল মুদ্রা, যা ডিজিটালই লেনদেন করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে লেনদেনের সম্পূর্ণ তথ্য গোপন রাখা হয়।

অতীতের ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আগেকার দিনে কোন জিনিস কেনা বা বেচার জন্য কোন প্রকার মুদ্রা ছিল না। তাই তখনকার দিনে মানুষ একটা জিনিসের বিনিময়ে অন্য জিনিস ক্রয় করতেন। তার পরপরই চালু হলো মুদ্রা যা কাগজের তৈরি নোট অথবা ঠাকুর তৈরি মুদ্রা হতে পারে। তবে বর্তমানে আরো এক ধরনের মুদ্রা রয়েছে। যা সম্পূর্ণ ডিজিটাল সেটি হল ক্রিপ্টোকারেন্সি।

বহু মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। এই ক্রিপ্টো কারেন্সি আসলে কি? ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কিভাবে কাজ করা? এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বৈধ? ইত্যাদি প্রশ্ন। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচ্য বিষয়গুলি হলো আপনাদের এই প্রশ্নের সমাধান। তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে আমাদের এই প্রতিবেদনটি পড়ুন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি (what is cryptocurrency) সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:

ক্রিপ্টোকারেন্সি হল আসলে একটি প্রাইভেট ডিজিটাল কারেন্সি। এটি ডিজিটাল উপায়ে লেনদেনের একটি উপায়। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, এই ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এক প্রকার Digital Currency Of Cash। ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাব ক্রিপ্টো শব্দটির অর্থ সিক্রেট বা গোপন এবং কারেন্সি শব্দটির মানে হল অর্থ। যা বিনিময় এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের আদান-প্রদান করা যায়।

তাই বলা যেতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে হল গোপন অর্থ। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করলে সেটি সম্পূর্ণ গোপন থাকে। এক্ষেত্রে দুজন ব্যতীত তৃতীয় কোন ব্যক্তির হাত থাকে না। এছাড়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য সরকারের হাতে কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা।

জেনে রাখুন ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে?

ব্লক চেনের মাধ্যমে কাজ করে থাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই ব্লক চেইন পদ্ধতি চালু হয়েছিল ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে, আমরা সবাই জানি চেন কথার অর্থ হল শিকল। তাই যদি আমরা সহজ ভাবে বলি তাহলে ব্লক চেন হলো একটি চেনের মাধ্যমে অনেকগুলি ব্লকের সংযুক্ত অবস্থা। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে (what is cryptocurrency) যখন কিছু লেনদেন করা হয় তখন লেনদেনের সমস্ত প্রকার তথ্য রেকর্ড করে রাখা হয় এবং একটি ব্লকে লেনদেনের তথ্য নিরাপত্তার সহিত গুছিয়ে রাখা থাকে।

খনি শ্রমিকরা এই ব্লকগুলোকে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। আর একটি শক্তিশালী কম্পিউটার দ্বারা এগুলিকে সব পর্যবেক্ষণ করে রাখা হয়। যাকে কম্পিউটার মাইনিং বলা হয়। আর যেসব ব্যাক্তি এই কম্পিউটার মাইনিং এর কাজ করে তাদের বলা হয় মাইনার। এই ক্রিপ্টো কারেন্সি গুলি হ্যাস ফাংশন এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের মত ক্রিপ্টোগ্রাফিকের মাধ্যমে কাজ করে থাকে।

জানেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কি কাজ করে থাকে:

যদি কোন ব্যক্তির কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি (what is cryptocurrency) মুদ্রা থেকে থাকে তাহলে তিনি কি কি করতে পারবেন চলুন দেখে নেওয়া যাক। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

→ ক্রিপ্টো মুদ্রা থাকলে কোন ব্যক্তি যে কোন পণ্য কেনাকাটা করতে পারবেন।
→ এছাড়া এই ক্রিপ্টো মুদ্রা দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেও কেনাবেচা করা যায় তবে এক্ষেত্রে আইনগত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
→ ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে আপনি দেশ-বিদেশেও আদান-প্রদান করতে পারেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকারের হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:

আমরা প্রায় সবাই জানি ক্রিপ্টোকারেন্সির (what is cryptocurrency) মধ্যে বিটকয়েন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিপ্টোকারেন্সি, এছাড়াও অনেক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। যেমন –

বিটকয়েন (Bitcoin)

এই বিটকয়েন হলো বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি। এটি চালু হয়েছিল ২০০৯ সালে এবং শুরু করেছিলেন Satoshi Nakamoto। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমান দিনের সবথেকে বেশি ব্যয়বহুল ডিজিটাল মুদ্রা হল এই ক্রিপ্টোকারেন্সি আর এর মূল্য এখন অনেকখানি।

ডগিকোয়েন (Doge Coin)

এই ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রার ওপর কুকুরের ছবি আছে বলে এর নাম হয়েছে ডগিকয়েন। যেহেতু এই মুদ্রার ওপর কুকুরের ছবি আছে তাই এটি সকলের কাছে একটি মিম এ পরিণত হয়েছে। এর মূল্য বৃদ্ধি পায় টেসলা কোম্পানির মালিক ইলন মাস্ক এর সহায়তায়।

কার্ডানো (Cardano)

অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো এর মূল্য এখন বাজারে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করতে পেরেছে। এবং পরপর এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। তাই এর মূল্য বর্তমানে প্রায় ৬৯ মার্কিন ডলারের সমান।

নেম কয়েন (Name Coin)

বিটকয়েন এর ওপর ভিত্তি করে এই কয়েন তৈরি করা হয়েছে। যার নাম নেম কয়েন। এই মুদ্রার ডোমেন নেম হল সেন্সরশীপ প্রতিরোধ ডোমেন নেম .bit। এটি ICANN দ্বারা পরিচালিত হয় না।

ইথেরিয়াম (Ethereum)

এই ইথারিয়াম ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু হয় ২০১৫ সালে। সর্বপ্রথম এটি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক। আগেকার দিনে এই ইথেরিয়াম এর মূল্য খুব একটা বেশি ছিল না কিন্তু বর্তমান বাজারে এর মূল্য অনেকখানি প্রায় ৩০০০ মার্কিন ডলারের সমান।

রিপল (Ripple)

এই ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু হয়েছিল ২০১২ সালে এবং এটি নির্মিত হয়েছিল আমেরিকান কোম্পানির দ্বারা। তবে এটি একদিকে যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, ঠিক তার পাশাপাশি এটি একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জও।

ভারতের ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা সম্পর্কে জেনে রাখুন:

ভারতে আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে (what is cryptocurrency) বৈধতা প্রদান করা হয়নি। কিন্তু ২০২০ সালের পর থেকে সুপ্রিম কোর্ট ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈধতা প্রদান করেছে। ঠিক এরপর থেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ আমাদের ভারতে বৈধ বলে স্বীকৃত।

এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇

আমাদের Facebook পেজ Follow Us
আমাদের What’s app চ্যানেল Join Us
আমাদের Twitter Follow Us
আমাদের Telegram চ্যানেলClick Here
আমাদের Instagram Join Us
আমাদের LinkedIn Join Us
Google নিউজে ফলো করুন Google NewsFollow Us
Namita Sahoo

Hello Friend's, This is Namita Sahoo, from India. I am a Web content creator, and writer. Here my role is at Ichchekutum is to bring to you all the latest news from new scheme, loan etc. sometimes I deliver economy-related topics, it is not my hobby, it’s my interest. thank you!

Leave a Comment

error: Content is protected !!