Tirupati Balaji Jayanti 2024 – বালাজি জয়ন্তী একটি উল্লেখযোগ্য হিন্দু উৎসব যা ভারত জুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সাথে উদযাপিত হয়। এটি ভগবান বালাজি বা ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর জন্মবার্ষিকী স্মরণ করে এবং মার্গশীর্ষ মাসে ক্ষয়িষ্ণু চন্দ্র পর্যায়ের অষ্টম দিনে পড়ে। ৬০০ বছরের পুরনো তিরুপতি বালাজি মন্দিরে পুজো ও বিশেষ আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভিড় করেন ভক্তরা। হিন্দুরা সমৃদ্ধ ও সুখী জীবনের জন্য তাঁর আশীর্বাদ পেতে এই দিনে ভগবান বালাজির উপাসনা করে। এই উৎসবটি দক্ষিণ ভারতে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, যেখানে ভগবান বালাজি মন্দিরগুলি এই বার্ষিক উদযাপনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। এই বছর, তিরুপতি বালাজি জয়ন্তী ২৩ শে ডিসেম্বর ২০২৪ এ পালন করা হবে।
A Few Unknown Fact of Tirupati Balaji Jayanti 2024
→ ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মুকুট ১০০০ গ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি
ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর মুকুট ১০০০ গ্রাম খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি। মুকুটটি হীরা, রুবি এবং পান্নার মতো মূল্যবান রত্ন দিয়ে সজ্জিত। মুকুটটি প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয় এবং এটি এমন একটি অনুষ্ঠান যা বহু শতাব্দী ধরে অনুসরণ করা হয়।
→ ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মূর্তি একটি মাত্র পাথর দিয়ে তৈরি
তিরুমালা মন্দিরে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর মূর্তিটি গ্রানাইটের একক পাথর থেকে খোদাই করা হয়েছে। মূর্তিটি প্রায় ৮ ফুট লম্বা, তবে কেবল উপরের অংশটি ভক্তদের কাছে দৃশ্যমান। প্রতিমাটি মূল্যবান অলঙ্কার এবং ফুল দিয়ে সজ্জিত, এটি একটি শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য তৈরি করে।
→ ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের বাসস্থান সাতটি পাহাড়ের উপর নির্মিত
তিরুমালা মন্দির, যেখানে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী বাস করেন, সাতটি পাহাড়ের উপর নির্মিত। সাতটি পাহাড় মানবদেহের সাতটি চক্রের প্রতিনিধিত্ব করে বলে মনে করা হয়। পাহাড়গুলি জীবনের সাতটি গুণাবলীর প্রতিনিধিত্ব করে: সত্য, ধার্মিকতা, শান্তি, প্রেম, অহিংসা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ত্যাগ।
→ ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মূর্তি প্রতিদিন ১০০০ কেজি ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হয়
ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর মূর্তি প্রতিদিন ১০০০ কেজি ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হয়। ফুলগুলি সারা ভারত থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং জটিল নকশা এবং নিদর্শনগুলিতে সাজানো হয়। প্রতিমাটিকে সতেজ এবং সুন্দর দেখানোর জন্য প্রতি কয়েক ঘন্টা পর পর ফুল পরিবর্তন করা হয়।
→ ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মন্দির বিশ্বের অন্যতম ধনী মন্দির
তিরুমালা মন্দির, যেখানে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী বাস করেন, বিশ্বের অন্যতম ধনী মন্দির। মন্দিরটি প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন ডলার অনুদান পায়। মন্দিরের কোষাগার সোনা, রৌপ্য এবং মূল্যবান রত্ন দিয়ে ভরা বলে জানা যায়। মন্দিরের সম্পদ দাতব্য উদ্দেশ্যে এবং মন্দিরের মহিমা বজায় রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |