রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Card) থেকে অনেক সুবিধা হচ্ছে জনগণের। এই সুবিধা বজায় রাখতে কার্ড এর আপডেট সম্পর্কে সবসময় অবগত থাকুন।
রাজ্যবাসীদের উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার অনেকগুলি প্রকল্প চালু করেছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হলো স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Card)। এই কার্ডের মাধ্যমে সমস্ত পরিবারগুলোকে স্বাস্থ্য বীমার অধীনে আনা হয়। যার দ্বারা সাধারণ মানুষ চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের সমস্ত পরিবারের একটি করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রদান করেছে সরকার। এই কার্ডের মাধ্যমে মাথা পিছু দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আবেদন কারীর জন্য বরাদ্দ হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে এই কার্ডের উপর নতুন নিয়ম জারি করলো রাজ্য সরকার। নতুন নিয়মে (Swasthya Sathi Card) কি পরিবর্তন অন্য রাজ্য সরকার সেই সম্পর্কে জানতে আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) সুবিধা:
সাধারণ দারিদ্র মানুষের সুবিধার জন্য এই প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের সাধারণ মানুষরা যাতে বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে পারে এবং সুস্থ থাকে। এই কার্ড এর মাধ্যমে যে রোগীরা শুধু বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে পারবে তা নয় এর মাধ্যমে তারা তাদের চকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য যেসব খরচ হয় তা বহন করবে রাজ্য সরকার, যেমন – ওষুধের দাম, যানবাহন খরচ ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, এই কার্ড এর সুবিধা যে শুধু সরকারি হসপিটালে পাওয়া যাবে তাকিন্তু নয়, বেসরকারি হসপিটালেও এই কার্ড এর সমস্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অপব্যাবহার:
তবে বর্তমানে সাধারণ মানুষ এই কার্ডের মাধ্যমে কতটা সুবিধা পাচ্ছে তার ঠিক নেই। কিন্তু এই কার্ডের (Swasthya Sathi Card) অপব্যাবহার করছে বেশ কিছু অসৎ মানুষ সহ বেসরকারি হাসপাতালগুলি। ফলস্বরূপ এই কাজের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে রাজ্য সরকারের, যা আশা করা যায় না। এই কারণ বশতঃ রাজ্য সরকার একটি অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এখন থেকে অতিরিক্ত টাকা দরকার পড়লেও প্রদান করবেন রাজ্য সরকার। তাই এবার চিকিৎসা করতে হলে তা সাবধানের সাথে করাতে হবে।
সূত্রের মারফত জানা গেছে যে, কিছু মানুষ আছে যারা সামান্য জ্বর সর্দি কাশিতেও বেশ অর্থ ব্যয় করছেন। যা হয়তো সামান্য ঔষুধে বা বাড়িতে বসে ঠিক হয়ে যাবে। তার জন্য তারা হাসপাতালের বেড এ শুয়ে আছেন। এর ফলে হাসপাতাল গুলিও বেশ মোটা টাকার বিল বানাচ্ছে। এই কারণ বশতঃ রাজ্য সরকারের বেকার ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। তাই বলা যায় যে হাসপাতাল বা বেশ কিছু অসৎ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) সঠিক ব্যবহারের থেকে অপব্যয় হচ্ছে বেশি।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নতুন নিয়ম:
হাসপাতাল গুলি যদি চাইতো তাহলে তারা সরকারের ব্যয় হওয়া অতিরিক্ত টাকা রাখা করতে পারতো। অর্থাৎ হাসপাতাল কতৃপক্ষ যদি ওই সমস্ত রোগীদের ভর্তি না নিতো এবং সঠিক সময়ে রিলিজ করে দিতো তাহলে অনেকটাই অর্থ ব্যয় কমানো যেত। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতাল কতৃপক্ষ এসব না করে বরং অতিরিক্ত খরচ চাপিয়ে দিচ্ছে। তবে তারা জন সমুখে দেখতে চাইছে যে তারা সম্পূর্ণ টাকা কমাতে চান। এই সূত্র ধরে স্বাস্থ্য অধি দপ্তর জানিয়েছে যে, কোনো রোগীকে দশ দিনের বেশি হাসপাতালে রাখা যাবে না। আর যদি কোনো কারণ বশতঃ রাখতে হয় তাহলে অডিট টীম এর মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তে যেতে হবে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে।
বর্তমানে জারি হওয়া এই নতুন নিয়ম হাসপাতাল কতৃপক্ষ না মানে তাহলে হাসপাতালের খরচ কোনো ভাবে বহন করবে না রাজ্য সরকার ।শুধু তাই নয় এই কাজের জন্য সেই হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের উপর জরিমানা চার্জ করা হবে। আবার অপারেশন এবং গাইনোলজিক্যাল সার্জারি এর ক্ষেত্রেও বদলানো হয়েছে কিছু নিয়ম। তবে এই নতুন নিয়ম (Swasthya Sathi Card) অনুযায়ী রোগী যে অস্ত্র পাচারের জন্য ভর্তি হয়েছে সেটি ছাড়া অন্য কোনো অস্ত্র পাচারের জন্য টাকা দেবে না রাজ্য সরকার।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের YouTube | Follow Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |