Swami Vivekananda Jayanti Speech – স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর ১২ই জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। এটি তরুণদের জন্য উত্সর্গীকৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আসুন আমরা দেখি কিভাবে অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভালো বক্তৃতা প্রস্তুত করা যায়। তাই আজকে আমাদের এই প্রতিবেনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
Swami Vivekananda Jayanti Speech in Bengali
স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণে ১২ই জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। তিনি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য আদর্শ। স্বামী বিবেকানন্দ সবসময় তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করেছেন। স্বামীজি তার জীবনের পরেও তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছেন। এবং এই দিনটি যুবকদের তাদের শক্তি উপলব্ধি করার এবং তাদের ধারণাগুলি সবার সামনে উপস্থাপন করার একটি ভাল সুযোগ দেয়। এমতাবস্থায়, আপনি যদি এই দিনে একটি ভাল বক্তৃতা প্রস্তুত করতে চান, তবে আপনি নীচের ভাষণ থেকে একটি উদাহরণ নিতে পারেন।
বক্তৃতার (Swami Vivekananda Jayanti Speech) একটি উদাহরণ এখানে দেখুন – অধ্যক্ষ স্যার, সম্মানিত শিক্ষক এবং আমার প্রিয় বন্ধুরা এখানে উপস্থিত।
আজ ১২ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। জেগে ওঠো, জাগো এবং লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত থামো না। এই লাইনটি যা আপনাকে উৎসাহে পূর্ণ করে তা স্বামী বিবেকানন্দের। স্বামীজি সেই ব্যক্তিত্ব যাঁর কাছ থেকে আজ শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের কোটি কোটি যুবক জীবন যাপন করতে শেখে। তার অনুপ্রেরণামূলক এবং আবেগপূর্ণ চিন্তা তরুণদের অনুপ্রাণিত করে এবং আগামী শতাব্দীর জন্য তা অব্যাহত থাকবে। এই কারণেই ১২ই জানুয়ারি ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসাবেও পালিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম ১২ই জানুয়ারি কলকাতায়। তাঁর ছোটবেলার নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। মাত্র ২৫ বছর বয়সে আধ্যাত্মিকতার পথ অবলম্বন করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ। আধ্যাত্মিক পথ অবলম্বনের পর তিনি স্বামী বিবেকানন্দ নামে পরিচিত হন। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও দর্শনের প্রতি তার ছিল প্রবল আগ্রহ।
স্বামী বিবেকানন্দ পুরোহিতবাদ, ধর্মীয় জাহিরতা, গোঁড়ামি এবং প্রথার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সংগ্রাম যত বড় হবে, বিজয় তত বেশি হবে। নিজেকে দুর্বল ভাবলে দুর্বল হয়ে যাবে। আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন তবে আপনি শক্তিশালী হবেন। বেদ ও উপনিষদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শুধুমাত্র উপাসনার মাধ্যমেই ধর্ম সম্ভব নয়, শুধুমাত্র মানবতা ও সততার মাধ্যমেই সম্ভব।
স্বামী বিবেকানন্দ ১লা মে ১৮৯৭ সালে কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন এবং ৯ই ডিসেম্বর ১৮৯৮ সালে গঙ্গা নদীর তীরে বেলুড়ে রামকৃষ্ণ মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বামী বিবেকানন্দ হাঁপানি এবং ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন, যার কারণে তিনি ৩৯ বছর বয়সে মারা যান। কিন্তু এত অল্প বয়সে তিনি সারা বিশ্বে এত খ্যাতি অর্জন করেছেন যা প্রতিটি যুবকের কাছে উদাহরণ।
বন্ধুরা, আজ যুব দিবস (Swami Vivekananda Jayanti Speech) উপলক্ষে, আসুন আমরা কেবল তাকে স্মরণ করি এবং শ্রদ্ধা জানাই না, তার জ্ঞান, শব্দ, পাঠ এবং চরিত্রের একটি ছোট অংশকে আমাদের জীবনে গ্রহণ করি। আমরা সবাই যদি তাঁর দেওয়া জ্ঞানের সামান্য অংশকেও আমাদের জীবনে প্রয়োগ করি, তাহলে আমাদের সফল হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। এই বলে আমি আমার বক্তৃতা শেষ করছি এবং আশা করি আমার বক্তব্য আপনাদের ভালো লাগবে। এই প্ল্যাটফর্মে মহান আধ্যাত্মিক নেতা স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে আমার মতামত প্রকাশ করার এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
ধন্যবাদ!
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |