Rice Export: চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও খিদের জ্বালা মেটাতে ভারত সরকারের নতুন পদক্ষেপ !

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

নতুন বছর শুরু হতেই সামনেই লোকসভার ভোট। চাল সাধারণ মানুষের কাছে দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই চালের দাম (Rice Export) নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের প্রধান দায়িত্ব।

ঠিক এই সময় জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা কেন্দ্রের কাছে একটি বড়ো চ্যালেঞ্জের বিষয়। ঠিক সেই রকম বাজারে চালের দাম (Rice Export) নিয়ন্ত্রণে রাখা ও কেন্দ্রের একটি বড়ো দায়িত্ব। না হলে দেশের সাধারণ মানুষরা খিদের জ্বালায় পড়বে। এই পরিস্থিতিতে এই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্র সংঘে “World Food program ” এর টেন্ডার এ অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের উপরে, পুরোটাই করা হয়েছে ভারতের জনগণের স্বার্থে।

চালের দাম (Rice Export) নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন পদক্ষেপ টি জানুন:

দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ভারতের বাজারে চালের দাম (Rice Export) নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড়ো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার। আমরা আগেই জেনেছি যে, রাষ্ট্র সংঘে “World Food program ” এর টেন্ডার এ অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের। আরো জানা গেছে যে, এই সংক্রান্ত টেন্ডার এ অংশ নিতে গেলে প্রথমে সরকারের অনুমতি চাইতে হবে।

তবে সরকার থেকে জানানো হয়েছে যে, এক্ষেত্রে সরকার রপ্তানিকারকদের অনুমতি দেবে না। এদিকে আবার সরকার এই পদক্ষেপে দেশের চালের দাম (Rice Export) নিয়ন্ত্রণে রাখলেও আশঙ্খা করছে যে বিশ্বের চারটি দেশের পেট খিদার জ্বালায় পড়তে পারে। তাই সবদিক বিচার করে বলা যায় দেশের চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা কেন্দ্র সরকারের সামনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ।

World Food program:

চালের দাম (Rice Export) নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপ গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাষ্ট্র সংঘে “World Food program” এর টেন্ডার এ অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের। বছরের শুরুতেই লোকসভার ভোট, এইমতো অবস্থায় ঘরোয়া বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখা সত্যি একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র সরকারের কাছে।

শুধু তাই নয় চালের দাম ছাড়া ও মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ঠিক এই সময়ের মাঝেই জানা গেছে যে, রাষ্ট্র সংঘের তরফ থেকে “World Food program ” এর আওতায় টেন্ডার ডাকা হয় ভাঙা চাল রপ্তানির জন্য। এই চাল পাঠানোর কথা ছিল স্পেন, ক্যামেরুন, টোগো এবং আলজেরিয়ায়।

প্রসঙ্গত আরো বলা যায়, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংঘ যেসব দেশে চাল ও খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে থাকে তার পেছনে একটা কারণ থাকে, দেখা যায় সেখানকার মানুষজন সংঘর্ষ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য খাদ্য অভাবে ভুগছেন। ঠিক এই অবস্থায় ভারত থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি হয়ে এসেছে বহু দিন থেকে। তবে বর্তমানে টেন্ডার ডাকার পরে রপ্তানিকারকদের জন্য ভারত সরকার থেকে জানানো হয়েছে এবারের টেন্ডার এ অংশগ্রহণের অনুমতি সরকার প্রদান করবে না।

Rice Export

রাষ্ট্রসঙ্ঘ টেন্ডার ডাকার পর ই তাতে অংশগ্রহণের জন্য কেন্দ্রের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড এর কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে সরকার থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি স্তরে আলোচনার মাধ্যমে ভারত থেকে বিভিন্ন দেশে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। ঠিক এই অবস্থায় অনেক আলোচনার পর কেন্দ্র সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের এই টেন্ডার এ ভারতের রপ্তানিকারকরা যেন অংশ না নেয়।

এর আগে একবার ভাঙা চালের রপ্তানির উপর সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ২০২২ সালে। শুধু তাই নয় ২০২৩ সালে জুলাই মাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল অ – বাঁশমতি চালের ওপর। তবে পরবর্তী কালে জানা যায় এই নিষেধাজ্ঞা থাকার পর ও কেন্দ্র সরকার থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সরকারি স্তরে কিছু কিছু দেশে চাল রপ্তানি (Rice Export) করার জন্য। এর ওপর ভিত্তি করে দেখা গেছে ভারতের সঙ্গে যে সব দেশের সম্পর্ক ভালো সেই সব দেশের প্রয়োজনে চাল পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

ঠিক এই কারণের জন্য গোটা বিশ্বে চালের চাহিদা বাড়ছে। আর তাই IMF এর তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য ভারত কে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ঘরোয়া বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্র সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিলো। আর এই প্রথম বার ঘটলো, যেখানে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে র টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের ব্যারন করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

সর্বশেষে বলা যায় যে, সামনেই লোকসভা ভোটার আগে বাজারে চালের দাম (Rice Export) নিয়ন্ত্রণে রাখা এক বড়ো চ্যালেঞ্জ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর তার জন্য এই প্রথমবার ভারতে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে পাশ করা টেন্ডারে ভারতের রপ্তানিকারকদের অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকা দেশ গুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 

আমাদের Facebook পেজ Follow Us
আমাদের What’s app চ্যানেল Join Us
আমাদের Twitter Follow Us
আমাদের Instagram Join Us
আমাদের YouTube Follow Us
আমাদের LinkedIn Join Us
Google নিউজে ফলো করুন Google NewsFollow Us
Namita Sahoo

Hello Friend's, This is Namita Sahoo, from India. I am a Web content creator, and writer. Here my role is at Ichchekutum is to bring to you all the latest news from new scheme, loan etc. sometimes I deliver economy-related topics, it is not my hobby, it’s my interest. thank you!

Leave a Comment

error: Content is protected !!