ভারতীয় রেল ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা অনেকখানি। কেন্দ্রের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক পদক্ষেপ গুলির মধ্যে একটি হলো (one station one product)।
আমরা দেখেছি যে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা বিগত দিনের তুলনায় বর্তমান দিনে অনেক উন্নতি লাভ করেছে। আর দিন দিন এই উন্নয়নকে আরো বড়ো করে তোলার জন্য ভারতীয় রেল বোর্ডের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা দেখেছি যে গত দশ বছরে রেল বোর্ডের উদ্যোগে রেল ব্যবস্থা অনেক গুন উন্নত তর হয়েছে। যার ফল স্বরূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি ভারতীয়রা প্রতিদিন ই রেল এর তরফ থেকে কিছু না কিছু উপহার স্বরূপ পাচ্ছেন। ঠিক একই রকম ভাবে তার প্রমান পেলো সিউড়ি ও দুবরাজপুর স্টেশন অর্থাৎ রেল বোর্ডের তরফ থেকে দুটি বড়ো উপহার পেলো সিউড়ি ও দুবরাজপুর রেল স্টেশন।
পুরো উদ্যোগ টাই নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকার তথা নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়, যার পেছনে টাকার পরিমান ছিল প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা। এবার আমরা সেই সমস্ত প্রকল্পগুলির সম্পর্কে জানবো। সেই প্রকল্প গুলির মধ্যে রয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন, প্যাসেঞ্জের ট্রেন, কোচ রেস্তেরাঁ, পণ্য বাহি ট্রেন, সেই রকম আর একটি প্রকল্প হলো (one station one product) ইত্যাদি নানান ধরণের প্রকল্প। এই সব প্রকল্প গুলির মধ্যে (one station one product) এই প্রকল্পটি পেয়েছে সিউড়ি ও দুবরাজপুর রেল স্টেশন। যার মাধ্যমে পুরো রুট বদল হতে চলেছে এই দুটি স্টেশনের।
(One station one product) প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
এই প্রকল্পটি সামনে আসার পর জনগণের মনে একটি প্রশ্ন আসছে যে এই (one station one product) আসলে কি? রেল কতৃপক্ষের তরফ থেকে স্থানীয় শিল্পের প্রসার এবং কর্ম সংস্থান কে উদ্দেশ্য করে এই (one station one product) প্রকল্প টি চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি যে সদ্য চালু করা হয়েছে টা কিন্তু নয়। ইতি মধ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করে এসেছে দেশের প্রায় ১০৮৯ টি স্টেশন। আবার জানা গেছে যে এই ১০৮৯ টি স্টেশন এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৩৫০ টি স্টেশন। তবে এই প্রকল্পে আরো দুটি স্টেশন এর নাম যুক্ত হলো, স্টেশন দুটি হলো দুবরাজপুর ও সিউড়ি রেল স্টেশন। এবার এই দুটি স্টেশন ও উন্নত থেকে উন্নততর হয়ে উঠবে।
(One station one product) প্রকল্পটির মাধ্যমে ব্যাবসায়ীদের সুবিধা:
(one station one product) প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে বহু স্টেশন কে আনা হয়েছে। এবং রেল এর তরফ থেকে প্রতিটি স্টেশনকে একটি করে ষ্টল উপহার দেওয়া হবে। যে ষ্টল স্থানীয় ব্যাবসায়ী দের ভাগ্য খুলতে সাহায্য করবে অর্থাৎ সেই ষ্টল এ ব্যবসা করার সুযোগ পাবে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা। যে ষ্টল এ ব্যবসা করার জন্য ব্যাবসায়ীদের আবেদন করতে হবে, তারপর তারা সেখানে নিজস্ব এলাকার হস্তশিল্প থেকে শুরু করে হাতের তৈরি খাবার জিনিস বিক্রি করার সুযোগ পাবে।
ফলে তারা একটি রোজগারের পথ পাবে। শুধু তাই নয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সব ব্যাক্তির রেল স্টেশন এ দোকান করার স্বপ্ন রয়েছে তাদের এই স্বপ্ন পূরণ হবে। তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবসা করতে হলে প্রত্যেকটি ব্যাবসায়ীকে রেল ডিপার্টমেন্ট কে নির্দিষ্ট পরিমান ভাড়া দিতে হবে তবেই তারা ব্যবসা করতে পারবে। দোকান পাবার পর প্রতিটি ব্যাবসায়ীকে ভাড়ার টাকা অগ্রিম হিসেবে রেলকে প্রদান করতে হবে।
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি সিউড়ি ও দুবরাজপুর রেল স্টেশনে দুই ধরণের ষ্টল এর উদ্বোধন করলেন। তবে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল দুবরাজপুর স্টেশন এ। এই অনুষ্ঠান এ উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা, আসানসোল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোমরসিয়াল ম্যানেজার বি কে চৌধুরী, সিনিয়ার DEN বিনোদ কুমার সহ অন্যান্য গণ্য মান্য ব্যাক্তিরা।
দুবরাজপুর স্টেশনের এই স্টলের দায়িত্ব পেয়েছেন এক মহিলা যার নাম অঞ্জলি যাদব। এই স্টলটি খোলার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, সময়টি হলো ভোর ৪ টা থেকে রাত্রি ৮ টা ৩০ পর্যন্ত। এই ষ্টল গুলির মাধ্যমে হাতের তৈরি আচার, ডালিয়া, ছাতু ইত্যাদি বাঙালি খাবার গুলি সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে।
সর্বশেষে বলা যায় যে, প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের জন্য বিভিন্ন সময়ে নানান রকমের প্রকল্প চালু করেছেন। এবার সেই মোদী সরকারের হাত ধরে ভারতের রেল স্টেশন গুলি পেতে চলেছে একটি নতুন রূপ। শুধু তাই নয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভাগ্য খুলতে চলেছে স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের YouTube | Follow Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |