Netaji Jayanti Speech in Bengali।নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু জয়ন্তী উপলক্ষ্যে কিছু বক্তৃতা জেনে রাখুন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Netaji Jayanti Speech: সুভাষ চন্দ্র বসু জয়ন্তী, বীরত্ব দিবস হিসাবে পালিত হয়, ভারতের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন ও আদর্শকে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর ২৩শে জানুয়ারি পালিত হয়। নেতাজি তাঁর অনন্য নেতৃত্বের ক্ষমতা এবং ‘আমাকে রক্ত ​​দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’-এর মতো আবেগপূর্ণ স্লোগান দিয়ে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামকে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

এই দিনে, স্কুল এবং কলেজগুলিতে বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেখানে ছাত্ররা নেতাজির জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেয় এবং তাঁর চিন্তাভাবনাগুলি ভাগ করে নেয়। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা তাঁর দেশপ্রেম, ত্যাগ এবং সাহসের গল্পগুলি স্মরণ করি এবং শিখি। এই ব্লগে, সুভাষ চন্দ্র বসু জয়ন্তী (Netaji Jayanti Speech) ভাষণের নমুনার একটি সংকলন বিশেষভাবে আপনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে আপনার বক্তৃতা শুধুমাত্র তথ্যপূর্ণ নয়, শ্রোতাদের অনুপ্রাণিত করে।

Netaji Jayanti Speech in Bengali

সম্মানিত অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং আমার প্রিয় বন্ধুরা,
শুভ সকাল!

আজ, ২৩শে জানুয়ারী ২০২৫, আমরা সবাই এখানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে জড়ো হয়েছি । পরাক্রম দিবস নামে পরিচিত এই দিনটি আমাদের সেই অনন্য নেতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যিনি তাঁর নিঃস্বার্থ দেশপ্রেম এবং অদম্য সাহসের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ২৩শে জানুয়ারী ১৮৯৭ সালে ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন। ধনী পরিবারে জন্ম নেওয়া নেতাজি শৈশব থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান এবং ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসেস (আইসিএস) পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে তিনি অসাধারণ প্রতিভা এবং সংকল্পের অধিকারী। কিন্তু তার আরামদায়ক কর্মজীবন ছেড়ে দিয়ে তিনি ১৯২১ সালে আইসিএস চাকরি ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ব্যক্তিগত সুখের চেয়ে তার দেশের স্বাধীনতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বন্ধুরা, নেতাজির এই আত্মত্যাগ আমাদের শিক্ষা দেয় যে জীবনে আমাদের কর্তব্যের চেয়ে বড় কিছু নেই। তাঁর বিখ্যাত স্লোগান ‘আমাকে রক্ত ​​দাও, আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব’ আজও প্রত্যেক ভারতীয়ের হৃদয়ে উদ্দীপনা ও সাহস জাগায়।

নেতাজির নেতৃত্ব এবং তাঁর সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা আমাদের অনুপ্রাণিত করে যে আমরা যদি একসাথে কাজ করি তবে আমরা এমনকি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারি। ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ প্রতিষ্ঠা করে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রচেষ্টা সঠিক পথে থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়। তার জীবন আমাদের শেখায় যে আমাদের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।

বন্ধুরা, আজ আমরা স্বাধীন দেশে নিঃশ্বাস নিচ্ছি, কিন্তু সেই স্বাধীনতা আমরা পাইনি। এটা নেতাজির মতো মহান নেতাদের আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার ফল। আজ পরক্রম দিবসে, আমাদের অঙ্গীকার করা উচিত যে আমরা নেতাজির চিন্তাধারা আমাদের জীবনে গ্রহণ করব। আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করব না, আমাদের সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখব।

পরিশেষে, আমি বলতে চাই সুভাষ চন্দ্র বসুর (Netaji Jayanti Speech) মতো মহান নেতা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তার জীবনের প্রতিটি গল্প আমাদের নতুন কিছু শেখায়। তাই, আসুন আমরা তাঁর উত্তরাধিকার রক্ষা করি এবং তাঁর স্বপ্নের ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করি।

জয় হিন্দ!
ভারতের জয়!

সম্মানিত অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং আমার প্রিয় বন্ধুরা,
শুভ সকাল!

আজ, ২৩শে জানুয়ারী ২০২৫, আমরা এখানে সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মহান অবদানকে স্মরণ করতে একত্রিত হয়েছি। এই দিনটি কেবল তার জন্মদিন হিসেবেই পালিত হয় না, তার অতুলনীয় সাহস এবং কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠাকেও উদযাপন করা হয়।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামকে শুধু দিকনির্দেশনাই দেননি, একে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, শুধুমাত্র অহিংসার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা যায় না; এজন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তির যোগাযোগ প্রয়োজন ছিল। ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ প্রতিষ্ঠা করে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে সংগ্রামের শক্তি দিয়ে যে কোনো বন্ধন ছিন্ন করা যায়।

তার বিখ্যাত স্লোগান “আমাকে রক্ত ​​দাও, আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব” শুধু কথা নয়, জীবনদানকারী অনুপ্রেরণা। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে যদি আমাদের উদ্দেশ্য দৃঢ় হয় এবং আমাদের সংকল্প দৃঢ় হয়, কোন প্রাচীর আমাদের পথ আটকাতে পারবে না।

এই দিনে, নেতাজির সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ থেকে আমাদের শিখতে হবে যে আমাদের জীবনে কোনও অসুবিধাকে ভয় করা উচিত নয়। আমাদের দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ করা উচিত। আজ, নেতাজির অনুপ্রেরণা নিয়ে, আসুন আমরা আমাদের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করি।

জয় হিন্দ!

সম্মানিত অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং আমার প্রিয় বন্ধুরা,
সবাইকে আমার শুভেচ্ছা!

আজ, ২৩শে জানুয়ারী ২০২৫, আমরা সবাই একটি বিশেষ দিন উদযাপন করছি – সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৮ তম জন্মবার্ষিকী। আমরা এই দিনটিকে বীরত্ব দিবস হিসেবে উদযাপন করি, এবং এটি কেবল একটি ঐতিহাসিক স্মরণই নয়, আমাদের মধ্যে নতুন উদ্যম ও অনুপ্রেরণা জাগ্রত করারও একটি দিন।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন সংগ্রাম ও উৎসর্গের প্রতীক। তিনি ২৩শে জানুয়ারী ১৮৯৭ সালে ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসেস (ICS) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, কিন্তু তার মর্যাদাপূর্ণ চাকরি ছেড়ে দেন এবং শুধুমাত্র একটি লক্ষ্য অর্জনের সংকল্প করেন – ভারতের স্বাধীনতা। নেতাজির এই সাহস আমাদের শেখায় যে লক্ষ্যের প্রতি আমাদের নিষ্ঠা যদি দৃঢ় হয়, তবে যেকোনো অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও আমাদের তা অর্জনের জন্য আমাদের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করা উচিত।

নেতাজির বিখ্যাত স্লোগান “আমাকে রক্ত ​​দাও, আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব” শুধু একটি ঘোষণাই ছিল না, কিন্তু একটি আহ্বান ছিল যা কোটি কোটি ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করেছিল। এই স্লোগান আমাদের শেখায় যে স্বাধীনতা শুধুমাত্র চিন্তা দ্বারা অর্জিত হয় না, কিন্তু কঠোর পরিশ্রম এবং সংগ্রাম দ্বারা। নেতাজির জীবন প্রমাণ যে আমরা যদি আমাদের স্বার্থে নিবেদিত থাকি, কোন প্রাচীর আমাদের আটকাতে পারবে না।

আজ, এই বীরত্ব দিবসে, আমাদের উচিত নেতাজির জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া এবং আমাদের জীবনে তাঁর মতো সাহস ও সংকল্প নিয়ে আসার অঙ্গীকার করা। সময় এসেছে আমাদের দায়িত্ব পালন করে দেশকে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে অবদান রাখার। আমরা যদি আমাদের স্বপ্নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি তবে আমরা প্রতিটি বাধা অতিক্রম করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারি।

জয় হিন্দ!

এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇

আমাদের Facebook পেজ Follow Us
আমাদের What’s app চ্যানেল Join Us
আমাদের Twitter Follow Us
আমাদের Telegram চ্যানেলClick Here
আমাদের Instagram Join Us
আমাদের LinkedIn Join Us
Google নিউজে ফলো করুন Google NewsFollow Us
Namita Sahoo

Hello Friend's, This is Namita Sahoo, from India. I am a Web content creator, and writer. Here my role is at Ichchekutum is to bring to you all the latest news from new scheme, loan etc. sometimes I deliver economy-related topics, it is not my hobby, it’s my interest. thank you!

Leave a Comment

error: Content is protected !!