ভারতের বেশিরভাগ মানুষের উপার্জনের মাধ্যম হলো কৃষিকাজ। তবে অনেকের অজানা যে, এই কৃষিজমিতে ফসল ফলাতে ও বিক্রি করতে গেলে সরকারকে ট্যাক্স (Land Tax) দিতে হয়।
ভারতের বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ কৃষি কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। কৃষক মানুষরা এতটাই সরল হয় যে, তারা শুধু মাঠে ফসল ফলাতে জানে কিন্তু তাদের চাষ জমির উপর সরকারের কোনো কর (Land Tax) আয়কর নিয়ম অনুযায়ী কৃষি জমি থাকলেই প্রত্যেককে দিতে হবে ট্যাক্স। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানুন। চাপানো থাকলে সে বিষয়ে কোনো হুঁশ থাকে না।
সাধারণ মানুষরা মনে করে চাষ থেকে যে আয় হয় তার উপর সরকার কে কোনো কর (Land Tax) দিতে হয় না কারণ চাষের জমি তার নিজের এবং সে নিজে ফসল ফলায়। এই ধারণাই দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। শুধু তাই নয় তারা মনে করে চাষের জমি বিক্রি করলেও সরকারকে কোনো প্রকার কর (Land Tax) দিতে হয় না। এই ধারণাটিও তাদের মধ্যে চিরস্থায়ী।
ভারতে কৃষকরা তাদের জমি প্রায়ই কেনা বেচা করে থাকে। কৃষকরা বিভিন্ন কারণে তাদের কৃষি জমি বিক্রি করে থাকে আবার অনেকে তাদের টাকা একটু একটু সঞ্চয় করে কৃষি জমি ক্রয় করে থাকেন। কৃষকরা প্রয়োজনে তাদের কৃষি জমি বিক্রি করে যে মোটা টাকা পায়, তা দিয়ে তারা তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটায়।
তবে প্রায় বেশির ভাগ কৃষক জানেন না যে, কৃষি জমি বিক্রি করলে তার উপর সরকার কে ট্যাক্স প্রদান করতে হয়। তবে এটা ঠিক যে, সব ধরণের কৃষি জমি বিক্রির ক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হয় না। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য হলো কোন কোন কৃষি জমি বিক্রি করলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে সে বিষয়ে আপনাদের জানানো।
– কৃষি জমি কত প্রকার হতে পারে:
আমরা কৃষি জমি বলতে শুধু চাষযোগ্য জমি কে বুঝে থাকি, কিন্তু এটা ঠিক নয়। আসল কথা হলো অঞ্চল ভেদে ভারতের কৃষি জমি সাধারণত দুই প্রকারের হতে পারে। প্রথম হলো গ্রামীণ অঞ্চলের কৃষি জমি, যেখানে সাধারণ মানুষরা চাষ করে ফসল ফলায়। দ্বিতীয়ত শহরের কৃষি জমি। শহরে বেশ কিছু জমি দেখা যায় ফাঁকা পরে আছে, যেখানে শহরের মানুষরা চাষ করে না কিন্তু আয়করের দৃষ্টিতে শহরের সেই ফাঁকা পরে থাকা জমিগুলি আয়কর দৃষ্টিতে কৃষি জমি হিসেবে পরিচিত।
– জানুন কোন কোন কৃষি জমি কর (Land Tax) যোগ্য নয়:
চাষ যোগ্য জমি থেকে সরকারকে কর প্রদান করতে হয় ঠিকই, কিন্তু এই নিয়ম সব জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কিছু জমি কর যোগ্য জমি হিসেবে গণ্য করা হয় না। আয়কর আইন ২ [১৪] ধারা তে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন জমি গুলোর উপর সরকার কর আরোপ করবে না। এই ধারাটিতে বেশ কিছু শর্ত উল্লেখ করা আছে।
যা থেকে বোঝা যাবে কোন কৃষি জমি গুলি কর যোগ্য বলে বিবেচিত। আয়কর ধারা ২ [১৪] অনুযায়ী বলা হয়েছে যে, কোনো জমি যদি পৌরসভা এলাকা, টাউন এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অথবা নোটিফায়েড এলাকা কমিটির অন্তর্গত হয় এবং ওই এলাকার জন সংখ্যা ১০০০০ এর বেশি হয় তাহলে ওই জমি গুলি কৃষি জমি হিসেবে গণ্য করা হবে না।
জমি যদি পৌরসভা বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় হয় এবং সেখানকার জনসংখ্যা যদি ১০,০০০ এর বেশি হয় তাহলে দুই কিমি ব্যাসার্ধের জমি সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি জমি হিসেবে গণ্য করা হবে না। অন্য দিকে পৌরসভা বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জনসংখ্যা ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ হয়, ৬ কিমি ব্যাসার্ধের জমি এক্ষেত্রে ও কৃষি জমি হিসেবে গণ্য হবে না। শুধু তাই নয় এইসব এলাকার জনসংখ্যা ১০ লক্ষ এর বেশি হলে 8 কিমি ব্যাসার্ধের জমি কৃষি জমি হিসেবে গণ্য করা হবে না।
– জানুন কোন কোন কৃষি জমি কর (Land Tax) যোগ্য:
আমরা আগেই জেনেছি যে, উপরের শর্ত গুলির মধ্যে যে সব জমি গুলি পড়বে সে গুলিকে কর (Land Tax) যোগ্য জমি হিসেবে গণ্য করা হবে না। আবার যে জমি গুলি উপরের শর্ত গুলির মধ্যে পড়বে না সেই জমি গুলিকে কর যোগ্য জমি হিসেবে গণ্য করা হবে।
কর যোগ্য নয় এমন জমিকে মূলধন সম্পদ হিসেবে ধরা হয় না এবং এই জমি বিক্রি করে যে আয় হয় তার উপর কর (Land Tax) দিতে হয় না। অন্য দিকে কোনো জমি উপরের শর্তের মধ্যে পড়লে তা মূলধন সম্পদ হিসেবে ধরা হয় এবং আয়কর নিয়ম অনুযায়ী ওই জমি বিক্রি করলে যে আয় হয় তার উপর সরকারকে কর প্রদান করতে হয়।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের YouTube | Follow Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |