পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার রাজ্যবাসীর কথা ভেবে বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প চালু করেছে। বর্তমানে সেই প্রকল্প গুলির মধ্যে একটি অন্যতম হলো শিশু সাথী প্রকল্প (SISHU SAATHI SCHEME)।
মানব সভ্যতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ও আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এর সাথে মানুষের শরীরে ও আশ্রয় করেছে বিভিন্ন ধরণের মারণ ব্যাধি রোগ। এগুলির মধ্যে একটি জটিল ব্যাধি যা প্রায়শই দেখা মিলছে তা হলো হার্টের রোগ। এই রোগটি বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ভীষণ ভাবে দেখা মিলছে।
আমরা সবাই জানি যে যদি প্রিয়জনের কারুর মধ্যে এই হার্ট জনিত রোগ থাকে তাহলে সেটি পরিবারের অন্য কাউকে তার সম্মুখীন হতে হয়। তবে বিশেষ করে গ্রাম বাংলার দিকে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগের চিকিৎসা করা অনেকটা কঠিন হয়ে যায়।
তাই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত শিশুদের কথা ভেবে যাতে তারা বিনামূল্যে এই রোগের চিকিৎসা করতে পারে তার জন্য শিশু সাথী প্রকল্প (SISHU SAATHI SCHEME) নামে একটি প্রকল্পের উন্মোচন করেন। এটি বিশেষ করে শিশুদের জন্য চালু করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে (SISHU SAATHI SCHEME) বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা ও বিনামূল্যে অস্ত্রপ্রচার করার সুবিধা প্রদান করা হবে। করা এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য কিংবা আবেদনের জন্য কি কি কাগজ পত্রের প্রয়োজন অথবা কিভাবে আবেদন করবেন সব কিছু জানতে এই প্রতিবেদন টি সম্পূর্ণ ভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
শিশু সাথী প্রকল্প (SISHU SAATHI SCHEME) আসলে কি ?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় টো১৩ সালের অগাস্ট মাসে ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে শিশু সাথী প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। অর্থাৎ এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিশু দের হার্ট সার্জারি করে তাদের নতুন জীবন প্রদান করা।
কেননা শিশু যখন জন্ম হয় সেই সময় তার শরীরে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ লক্ষণ করা যায়। বিশেষ করে এই হার্ট এর রোগ। কেননা যাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় তাদের পক্ষে এই সার্জারি করা খুব কষ্টের হয়ে পড়ে। তাই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ অর্থাৎ শিশু সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে বিনা পয়সায় হার্ট সার্জারি করে দেওয়ার লক্ষে এই শিশু সাথী প্রকল্পের ঘোষণা করেন। কেননা আগামী ভবিষ্যত কে রক্ষা করা সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল।
এই প্রকল্পের (SISHU SAATHI SCHEME) মাধ্যমে কোন কোন সুবিধা পাওয়া যায় তা জানুন:
আমরা জানি সরকার এই প্রকল্পের (SISHU SAATHI SCHEME) মাধ্যমে বিনা খরচে শিশু দের হার্ট সার্জারি প্রদান করে। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে এই হৃদ সংক্রান্ত কোন কোন রোগের চিকিৎসা করার সুবিধা রয়েছে আমরা এখন তা জেনে নেবো –
১) হার্টের মধ্যে যদি কোনো ফুটোর সমস্যা থাকে।
২) হার্টের মধ্যে যদি রক্ত চলাচল বিঘ্ন হয়।
৩) হৃদ যন্ত্রের নানা প্রকারের সমস্যা।
৪) কঞ্জেনিটাল কার্ডিয়াল ডিফেক্ট ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা।
জেনে রাখুন ১২ বছর পর্যন্ত শিশুর যে কোনো হার্টের সমস্যা বিনা খরচে চিকিৎসা করতে পারবেন।
জানুন কোন কোন হাসপাতাল এই সুবিধাগুলি প্রদান করছে :
নিম্নে উল্লেখিত হাসপাতাল গুলির নাম দেওয়া হলো যেখানে আপনি এই রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন।
১) কলকাতা R G কর মেডিকেল কলেজ।
২) কলকাতা SSKM হাসপাতাল।
৩) কলকাতা BM বিড়লা হাসপাতাল।
৪) কলকাতা RN tagore ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্স।
৫) কলকাতা BC রায় মেমোরিয়াল হাসপাতাল ফর চিলড্রেন।
৬) দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল।
শিশু সাথী প্রকল্পে আবেদনের জন্য কোন কোন যোগ্যতার প্রয়োজন জেনে নিন ?
- পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমান পত্র লাগবে।
- আবেদনকারী ও পিতা-মাতার সরকারি শংসাপত্র থাকতে হবে।
- আবেদনকারী শিশুর বয়স সর্বোচ্চ 18 বছর হবে।
- পরিবারের মাসিক আয় এ বিষয়ে কোন বাধা নিষেধ নেই।
শিশু সাথী প্রকল্পে (SISHU SAATHI SCHEME) কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন :
আপনি Online কিংবা Offline দুই ভাবে আবেদন করতে পারেন। নিম্নে তা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো:
Online Application Process:-
প্রথমে আপনাকে পশ্চিমবঙ্গ শিশুসাথী যোজনা এর Official Website (https://wb.gov.in/goverment-schemes-details-sishusaathi.aspx) টি Open করতে হবে।
এরপর আপনার সামনে যে Application ফর্মটি আসবে সেটি পূরণ করতে হবে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুযায়ী।
সব শেষে আপনার সমস্ত তথ্য পূরণ করার পরে Application Form টি Submit করে দিন।
Offline Application Process:-
যদি আপনি Offline এ আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে এর জন্য নিম্নে উল্লেখ সমস্ত Documents সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া ও আপনি সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে, সেখানেই আপনি এই সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
শিশু সাথী প্রকল্পে আবেদন করার জন্য কি কি কাগজের প্রয়োজন হতে পারে?
তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে এই প্রকল্পটিতে (SISHU SAATHI SCHEME) আবেদন করতে গেলে কি কি কাগজ পত্রের প্রয়োজন লাগতে পারে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
১) আধার কার্ড ( শিশু ও অভিভাবক উভয় পক্ষের )
২) ভোটার কার্ড ( শিশুর অভিভাবকের )
৩) স্থায়ী বাসিন্দার প্রমান পত্র।
৪) আবেদনকারীর দুটি পাসপোর্ট সাইজও এর ফটো।
৫) আবেদন কারী যদি BPL হয় তার সার্টিফিকেট ও লাগবে।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের YouTube | Follow Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |