Happy Maha Sasthi 2024 – ষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গার মুখ উন্মোচন করে শুরু হয় বোধনের কাজ। আর এই বোধনের মাধ্যমেই দেবী দুর্গাকে মর্তে আহ্বান করা হয়। তারপরেই চলে পূজোর কাজ।
Maha Sasthi in Bengali
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ আর বিভিন্ন উৎসবের মাধ্যমে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হচ্ছে দুর্গাপুজো (Durga Puja)। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ মহা ষষ্ঠী অর্থাৎ এই দিন দেবীর বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। ষষ্ঠীর দিন থেকে চারিদিকে ঢাকের বাজনা, কাঁসরের ঘন্টা, শঙ্খের আওয়াজ ইত্যাদির মাধ্যমে মুখরিত ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে গোটা পরিবেশ। সকালটা যেন শুরু হয় এক ঝকঝকে আবহাওয়ার মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ষষ্ঠীর দিনেই দেবী দুর্গা কৈলাসের যাত্রা শেষ করে সপরিবারে মর্তে গমন করেন।
Maha Sasthi Durga Puja
বাঙ্গালীদের এই শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হয় মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই। আর এই দিনই হয় দেবীর বোধন। শাস্ত্রমতে মহাষষ্ঠীর (Maha Sasthi) দিনে মহামায়া সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের সঙ্গে বাপের বাড়িতে আসেন। আর এই ষষ্ঠীর দিন থেকেই শুরু হয় বাঙ্গালীদের সমস্ত ধরনের আচার অনুষ্ঠান। এই দিন প্রথম দেবীর মুখ খুলে দেওয়া হয় এবং শুরু হয় পূজোর কাজ। বোধন শব্দের অর্থ হলো জাগ্রত করা। অর্থাৎ এই বোধনের মাধ্যমে দশভূজা দুর্গাকে আহ্বান করা হয় মর্তে। তারপর নিয়ম কানুন মেনে এই ষষ্ঠীর (Maha Sasthi) দিন থেকে দশমী দিন পর্যন্ত চলে দেবীর আরাধনা। দেবীর আরাধনা কালে সবাই চায় এই পাঁচ দিন যেন কোনরকম বাধা বিঘ্ন না আসে। সেইহেতু একটি তামার পাত্রে গঙ্গাজল রেখে মন্ডপের এক কোনায় স্থাপন করা হয়। সেখানেই চলেই দুর্গা ও চণ্ডীর আরাধনা। এরপর শুরু হয় দেবীর বোধন তারপর অধিবাস ও আমন্ত্রণ পর্ব।
Subho Sasthi: Maa Katyayani
শাস্ত্রমতে জানা গেছে ষষ্ঠীর দিন দেবী ষষ্ঠীর রূপ কাত্যায়নীর আরাধনা করা হয়। আর নবরাত্রি তে আরাধনা করা হয় দেবীর নয় রূপের। সাধারণ মানুষের ধারণা ষষ্ঠীর দিন কাত্যায়নী রোগ দুঃখ কষ্ট ও ভয়কে দূর করার আশীর্বাদ প্রদান করেন। এছাড়া জীবনের সমস্ত সমস্যা যাতে দূর হয় এবং সংসারের সুখের সমৃদ্ধি হয় সেইহেতু কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। সেই জন্য বাঙালির ঘরে দেখা যায় সন্তানের মঙ্গল কামনায় ওই দিন বাড়ির সব মহিলারা এবং মায়েরা দুর্গা ষষ্ঠী পালন করে থাকেন।
শাস্ত্রমতে দেবী কাত্যায়নী (Maa Katyayani) হল মহামায়ার একটি ভয়ংকর রূপ। আমরা যেমন জানি চন্ডী বা ভদ্রকালী হলেন যুদ্ধের দেবী সেই রকমই কাত্যায়নী হলেন যুদ্ধের দেবী। নবরাত্রির এই ষষ্ঠ রূপে দেবীর গায়ের রং থাকে সূর্যের মতো লাল সেই হেতু ষষ্ঠীর দিন লাল রঙের পোশাক পরা শুভ বলে মনে করা হয়।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |