Global Warming Effect: সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাওয়ার তালিকায় কোন ১২ টি শহর রয়েছে জেনে রাখুন!

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Global Warming Effect: বিশ্ব উষ্ণায়ন যত বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্রের জলোতলের উচ্চতা ও তত বাড়ছে। যার ফলে একসময় ভারত এর বহু শহর তলিয়ে যেতে পারে সমুদ্রের অতল তলে, যা নিয়ে আশঙ্কিত মানুষ।

বিশ্ব উষ্ণায়ন এই শব্দটির সঙ্গে কম বেশি আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। এটি এখন আমাদের গোটা পৃথিবীর সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ যত মর্ডান হচ্ছে প্রাকৃতিক দূষণ তত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবেশে কার্বন এর পরিমাণ তত বাড়ছে। যার ফলস্বরূপ বিশ্ব উষ্ণায়নও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জন্য আমাদের গোটা পৃথিবীর এখন আবহাওয়া ব্যাপকহারে পরিবর্তন হয়েছে। পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অন্যতম এক কারণ হলো এই বিশ্ব উষ্ণায়ন। তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে ভারতের প্রায় 12 টি রাজ্য তলিয়ে যেতে চলেছে সমুদ্রের তলায়।

পরিবেশে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming Effect) ফলে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে মহাসাগর গুলিকে। বিরাট বিপদের হাতছানি দেখা যাচ্ছে সমুদ্রের ওপার থেকে বিশ্বজগত উষ্ণ হচ্ছে ততই বরফ গলে ক্রমশ বাড়ছে সমুদ্রের জলের স্তর। তাই আশা করা যাচ্ছে এইরকম যদি চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই একসময় সমুদ্রের নিচে চলে যাবে বহু জায়গা। সেই অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকার 12 টি উপকূলীয় শহরের প্রতি ৫০ জন বাসিন্দার মধ্যে একজন বাসিন্দা বন্যার মুখে পড়বেন বলে আশা করা যাচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতের নাম।

আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা (Global Warming Effect) এইভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের ১২টি শহর সমুদ্রের অতল তলে তলিয়ে যেতে পারে। ভারতের যে সব শহরগুলি সমুদ্রের তলায় তলিয়ে যেতে পারে, তাদের মধ্যে রয়েছে মুম্বাই, চেন্নাই, কোচি, বিশাখাপত্তনম, কান্ডালা, ভাওনগর, ওখা ইত্যাদির মত কিছু অন্যতম শহর গুলি। আবহাওয়াবিদরা এই আশঙ্কাকে সঠিক বলেও দাবি করেছেন যার ফলে ভারতবাসীরা এখন চিন্তিত। তারা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কিভাবে করবে এবং এর থেকে কোনোভাবে বাঁচার উপায় আছে কিনা এই নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়েছে ভারতবাসীর মধ্যে।

এইরূপ সমস্যা নিয়ে আতঙ্কিত সমস্ত ভারতবাসী। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের (Global Warming Effect) হাল নিবারণের ক্ষেত্রে জলভাগের অনেকটাই গুরুত্ব থেকে থাকে। পরিবেশের সবথেকে ক্ষতিকারক গ্যাস হলো গ্রীন হাউজ গ্যাস। এই গ্রিন হাউস গ্যাসের মধ্যে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণের তাপ এই তাপের অধিকাংশ শোষণ করে নেয় মহাসাগর গুলি। মহাসাগর গুলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে অধিক পরিমাণে। যা থেকে পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে শুধু তাই নয় এর দ্বারা বাস্তুতন্ত্রের যেমন ক্ষতি হচ্ছ তার পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষদের এবং পরিবেশে বাড়ছে বন্যা এবং সুনামির প্রভাব।

আবহাওয়াবিদদের মতে বিশ্বের (Global Warming Effect) বিভিন্ন দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ভবিষ্যতের এই চরম দুর্যোগের শিকার হতে চলেছে। তাদের মতে ১৯০১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বের সমুদ্রের জলের স্তরের গড় উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার। শুধু তাই নয় তারা জানিয়েছেন ২০০৬ থেকে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা প্রতিবছর ৩.৫ মিলিমিটার হারে বৃদ্ধি হচ্ছে। এই সমস্যায় পড়েছে আমেরিকা ও আমেরিকার ৩২ টি উপকূলীয় শহরের মধ্যে ২৪ টি প্রায় প্রতিবছর ২ মিলিমিটার হারে সমুদ্রের জলে ডুবছে।

সর্বশেষে বলা যায়, আজও যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে সমুদ্রের অতল জলে তলিয়ে দেওয়া শহর গুলির মধ্যে আমরাও একসময় সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যাব। তাই নিজেকে বাঁচাতে, পরিবেশকে বাঁচাতে (Global Warming Effect) এখনই প্রত্যেকটি মানুষকে সচেতন হওয়া খুবই জরুরী।

এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇

আমাদের Facebook পেজ Follow Us
আমাদের What’s app চ্যানেল Join Us
আমাদের Twitter Follow Us
আমাদের Telegram চ্যানেলClick Here
আমাদের Instagram Join Us
আমাদের LinkedIn Join Us
Google নিউজে ফলো করুন Google NewsFollow Us
Namita Sahoo

Hello Friend's, This is Namita Sahoo, from India. I am a Web content creator, and writer. Here my role is at Ichchekutum is to bring to you all the latest news from new scheme, loan etc. sometimes I deliver economy-related topics, it is not my hobby, it’s my interest. thank you!

Leave a Comment

error: Content is protected !!