Ghee Making Business: ঘি প্রায় সবারই কম বেশি পছন্দের একটি খাবার। তবে বাজারে যে ঘি পাওয়া যায় তার তুলনায় বাড়িতে বানানো ঘি এর চাহিদা অনেক বেশি।
বর্তমান দিনে সমস্ত ব্যাক্তি চায় স্বনির্ভর হতে। তাই চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। তাই কম পুঁজি বিনিয়োগ করে একটি ব্যবসা শুরু করে তারা একটি বড়ো জায়গায় পৌঁছতে পারছে। ঘি এর চাহিদা সব সময়ই থাকে। ঘি শুধু খাওয়ার জন্য নয় এটি পূজা অর্চনাতেও কাজে লাগে। ঘি এর চাহিদা শুধু ভারতে নয়, অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ঘিয়ের উচ্চ চাহিদা রয়েছে। তাই আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় হলো কিভাবে ঘিয়ের ব্যবসা শুরু করবেন? শুরু করার আগে কি কি জিনিস মেনে চলবেন? এই সব কিছু জানতে আমাদের প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ুন।
কিভাবে ঘিয়ের ব্যবসা (Ghee Making Business) শুরু করবেন?
ঘি তৈরির জন্য একটি মেশিন পাওয়া যায়। যার মূল্য ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। এই ব্যবসা টি করার জন্য আপনাকে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পরিবারের মহিলা, অবসর প্রাপ্ত্য ব্যাক্তি সহ যে কেউ এই মেশিন কিনে বাড়িতে ঘি তৈরির কাজ শুরু কোর্ট৬ই পারেন। প্রথমে ব্যবসা শুরু করার পর আপনাকে আপনার পাশা পাশি বাজারে ঘি বিক্রি করতে হবে। সেই কারণে মেশিন ছাড়া ঘি রাখার জন্য কিছু পাত্র ও কিনতে হবে আপনাকে। এর পর চাইলে আপনি আপনার কোম্পানির লোগো তৈরি করে তা লাগিয়ে দিতে পারেন।
ঘিয়ের ব্যবসা কতটা লাভজনক জেনে রাখুন:
এই ব্যবসা (Ghee Making Business) খুবই লাভ জনক। ঘি তৈরির জন্য প্রথমে একটা মেশিন কিনে ঘি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারলে প্রচুর ইনকাম করা যাবে। বাড়িতে ১ কেজি ঘি তৈরি করার ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কিন্তু সেই ঘি বাজারে যখন বিক্রি করা হয় তখন তার মূল্য ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। তাই কোনো ব্যাক্তি যদি এই ব্যবসা টি ঠিকঠাক করে শুরু করতে পারেন তাহলে তিনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত যায় করতে পারবেন।
ঘিয়ের ব্যবসা শুরু করার আগে কোন কোন বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দিতে হবে:
বর্তমানে আমাদের দেশে ঘিয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই কেউ যদি এই ঘি এর ব্যবসা (Ghee Making Business) শুরু করে তাহলে তিনি ভালোই লাভ করতে পারবেন। তার জন্য তাকে কিছু পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে। যেমন –
- আপনার ব্যবসা শুরু করার প্রয়োজনীয় লাইসেন্স বের করুন এবং ব্যবসাটি নিবন্ধন করুন। যেমন খাদ্য সুরক্ষা লাইসেন্স বের করতে হবে এবং জিএসটি নিবন্ধকরণ করতে হবে।
- ব্যাবসার জন্য ভরসাযোগ্য সরবরাহ কারীর কাছ থেকে উচ্চ মানের দুধ সংগ্রহ করতে হবে কারণ উন্নত মানের ঘি তৈরি করতে গেলে আপনার সংগ্রহ করা দুধের গুণগত মান ভালো হতে হবে।
- এই ব্যাবসার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান বাছতে হবে। এবং লক্ষ্য রাখতে হবে ঘি সঞ্চয় এবং প্যাকেজিং এর জন্য যেন পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও রাখতে হবে।
- কোন ঘি এর (গরুর দুধের ঘি, মোষের দুধের ঘি) চাহিদা বেশি সেই অনুযায়ী আপনার ব্যাবসার পরিকল্পনা করতে করতে হবে। এর ফলে ব্যাবসার অগ্রগতি দ্রুত হবে।
- ঘিয়ের গুণগত মান ও স্বাস্থ্যকর ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ভালো ভাবে প্যাকেজিং করতে হবে। এবং ঘি বিক্রি করার জন্য একটি বিতরণ নেটওয়ার্ক বিকাশ করুন। যার মধ্যে স্থানীয় খুচরা বিক্রেতা, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সরাসরি বিক্রয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এই ধরনের সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |