First Trimester during Pregnancy, গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাসে মহিলাদের পুষ্টির চাহিদার যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থার এই প্রাথমিক পর্যায়ে, মা এবং শিশুর একই সাথে উন্নতি হয়। গর্ভবতী মায়েদের তাদের পুষ্টির চাহিদার উপর মনোযোগ দেওয়া এবং কোন খাবারগুলি খাওয়া উচিত এবং কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) মায়েদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। এই সময়কালে মা এবং শিশুর উভয়েরই উন্নতি হয়। গর্ভাবস্থার তিনটি পর্যায় বা পর্যায় রয়েছে। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস হল গর্ভধারণ থেকে ১২-১৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কাল। এই সময়কালে একটি ভালো এবং সুষম খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টি ভ্রূণের বিকাশ নিশ্চিত করে, গর্ভাবস্থার সাথে আসা অসুবিধাগুলি দূর করে এবং একজন সুস্থ মাকে বজায় রাখে। এই সময়কালে, পুষ্টির চাহিদাগুলিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, খাওয়ার এবং এড়িয়ে চলার খাবারগুলি মনে রাখা উচিত।
গর্ভাবস্থার (Pregnancy) প্রথম তিনমাসে একটি ভালো এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস মাকে গর্ভাবস্থার অগ্রগতির সাথে সাথে তাদের শরীরের অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। এই সময়কালে মা হরমোনের পাশাপাশি বিপাকীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান, ফলে মৌলিক পুষ্টির চাহিদা তাদের শারীরিক চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাসে পুষ্টির চাহিদা সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা এখানে দেওয়া হল, যেখানে খাওয়া এবং এড়িয়ে চলার খাবারের উপর আলোকপাত করা হল।

প্রথম ত্রৈমাসিকের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা (First Trimester during Pregnancy)
ফোলেটস
গর্ভাবস্থার (Pregnancy) প্রাথমিক পর্যায়ে খাদ্যতালিকায় ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। ফোলেট হল বি ভিটামিন যা ভ্রূণের স্নায়ু বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাকসবজি এবং ফল, মসুর ডাল এবং শক্তিশালী শস্য খান।
প্রোটিন
চর্বিহীন মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত দ্রব্য, মটরশুটি, টোফু, পনির এবং বাদামের মতো প্রোটিন খাওয়ার অভ্যাস করুন। এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলি সরাসরি শিশুর অঙ্গ, পেশী এবং টিস্যু বিকাশের উপর প্রভাব ফেলে।
ক্যালসিয়াম এবং দুগ্ধজাত পণ্য
শিশুর হাড়ের বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার খেলে হাড় শক্তিশালী হয়। এছাড়াও, বাদাম এবং তিলের মতো উদ্ভিদ-ভিত্তিক উৎসগুলি হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে।
লোহা
গর্ভাবস্থায় আয়রন রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে কারণ এটি গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে। প্রথম ত্রৈমাসিকে পালং শাক, বিট, ডাল এবং শুকনো ফলের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আরও ভালো শোষণের জন্য ভিটামিন সি উৎসের সাথে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
আস্ত শস্য এবং ফাইবার
গোটা শস্য শক্তি বৃদ্ধি করে এবং এতে থাকা ফাইবারের উপস্থিতি কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবেলায় সাহায্য করে, যা গর্ভাবস্থায় একটি সাধারণ উদ্বেগ। গর্ভবতী মায়েদের সুষম খাদ্যতালিকায় বাদামী চাল, ওটস, গোটা গমের রুটি এবং কুইনোয়া যোগ করুন।
স্বাস্থ্যকর চর্বি
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক এবং চোখের বিকাশে সহায়তা করে। গর্ভবতী মহিলাদের তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অ্যাভোকাডো, আখরোট, তিসির বীজ এবং চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়া উচিত।
হাইড্রেশন এবং তরল
পরিশেষে, রক্তের পরিমাণ এবং অ্যামনিওটিক তরলের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য সারা দিন হাইড্রেটেড থাকা অপরিহার্য। এছাড়াও, জল এবং তরল পানীয় পানিশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে এবং হজমে আরও সহায়তা করতে পারে।

প্রথম ত্রৈমাসিকে (Pregnancy) যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
প্রক্রিয়াজাত এবং জাঙ্ক ফুড:
এই খাবারগুলিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অন্যান্য কৃত্রিম বিক্ষেপক থাকে এবং গর্ভবতী মা এবং তাদের শিশুর কোনও উপকার করে না।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়:
গর্ভাবস্থায় ক্যাফিন গ্রহণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা মা এবং ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
কাঁচা বা কম রান্না করা খাবার:
সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে কাঁচা সামুদ্রিক খাবার, ডিম, বা পাস্তুরিত না করা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
চিনিযুক্ত খাবার:
একটানা বেশি মিষ্টি খাবার খেলে ক্রমাগত শক্তি হ্রাস পেতে পারে এবং এমনকি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসও হতে পারে।
অ্যালকোহল:
প্রথম তিনমাসে মহিলাদের অবশ্যই অ্যালকোহল পান করা সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এটি ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং স্নায়বিক বিকাশে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ ![]() | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল ![]() | Join Us |
আমাদের Twitter ![]() | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
আমাদের Instagram ![]() | Join Us |
আমাদের LinkedIn ![]() | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |