Immigration and Foreigners Bill, ভারত সরকার লোকসভায় অভিবাসন ও বিদেশী বিল, ২০২৫ পেশ করেছে, যার লক্ষ্য অভিবাসন আইনকে সহজতর করা, জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা এবং লঙ্ঘনের জন্য কঠোর শাস্তি আরোপ করা। বিলটিতে চারটি ঔপনিবেশিক যুগের আইন, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৪৬ সালের বিদেশী আইন এবং ১৯২০ সালের পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, প্রতিস্থাপন করে একটি একক, আধুনিক আইনি কাঠামো তৈরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিল সম্পর্কে বিস্তারে পড়ুন: (Immigration and Foreigners Bill)
১. জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এই বিলটি জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দেয়, যেখানে বলা হয়েছে যে ভারতের অখণ্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ যে কোনও বিদেশীকে প্রবেশ বা থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার ক্ষমতাও ইমিগ্রেশন অফিসারদের থাকবে।
উপরন্তু, বিদেশীদের আগমনের সময় নিবন্ধন করতে হবে এবং তাদের চলাচল, নাম পরিবর্তন এবং নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রবেশাধিকার সীমিত হতে পারে।
২. প্রবেশ ও থাকার কঠোর নিয়মকানুন
ভারতে প্রবেশকারী বা ভারতে থেকে বের হওয়া সকল বিদেশীর বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা বিদেশী নাগরিকদের অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বিদেশীদের আনার জন্য বিমান সংস্থা এবং পরিবহন অপারেটরদের মতো বাহকদের দায়ী করা হবে। যদি কোনও বিদেশীকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়, তবে বাহককে অবিলম্বে তাদের ভারত থেকে সরিয়ে নিতে হবে, অন্যথায় জরিমানা এবং সম্ভাব্য পরিবহন জব্দের মুখোমুখি হতে হবে।
৩. লঙ্ঘনের জন্য ভারী জরিমানা
বিলটিতে লঙ্ঘনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া আগমন: পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং ₹৫ লক্ষ জরিমানা।
জাল নথি ব্যবহার: দুই থেকে সাত বছরের জেল, ১ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
অতিরিক্ত সময় অবস্থান করা বা ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করা: তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ₹৩ লক্ষ জরিমানা।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বিদেশীদের পরিবহন: ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং সম্ভাব্য যানবাহন জব্দ।
দ্বৈত নাগরিকত্বধারী বিদেশীরা সেই দেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন যাদের পাসপোর্ট ব্যবহার করে তারা ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
সরকারের যুক্তি
বিলটি (Immigration and Foreigners Bill) উপস্থাপন করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই স্পষ্ট করে বলেন যে নতুন আইনটি দর্শনার্থীদের নিরুৎসাহিত করার জন্য নয় বরং অভিবাসন নিয়মের কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করার জন্য। “ভারত দর্শনার্থীদের স্বাগত জানায়, তবে তাদের অবশ্যই অভিবাসন আইন মেনে চলতে হবে। ভারতের অর্থনৈতিকভাবে উন্নতির সাথে সাথে, আমরা জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পর্যটনকে সহজতর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” তিনি বলেন।
সম্ভাব্য প্রভাব এবং বিতর্ক
এই বিলটি (Immigration and Foreigners Bill) অভিবাসন কর্মকর্তাদের প্রদত্ত বিস্তৃত ক্ষমতা এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর প্রশাসনিক বোঝা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও সরকার যুক্তি দিচ্ছে যে বিলটি নিরাপত্তা এবং প্রক্রিয়াগুলিকে সহজীকরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সমালোচকরা বিদেশী নাগরিক, ব্যবসা এবং মানবাধিকারের উপর এর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন।
বিলটি সংসদীয় পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, এর চূড়ান্ত সংস্করণটি অভিবাসন প্রয়োগ এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে উল্লেখযোগ্যভাবে পুনর্গঠন করতে পারে।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ ![]() | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল ![]() | Join Us |
আমাদের Twitter ![]() | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
আমাদের Instagram ![]() | Join Us |
আমাদের LinkedIn ![]() | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |