আয় না থাকলেও আপনি আয়কর ফাইল (Nil ITR Filing) করে রাখুন এতে আপনারই সুবিধা। এক ফলে আপনার লোন পাওয়া যেমন সহজ হবে তেমনি পাবেন আরো অনেক সুবিধা।
ভারতের আয়কর আইন অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তিকে ITR ফাইল তখনি করতে হয় যখন তার আয় নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে যায়। ITR ফাইল করার উদ্দেশ্য হলো নির্দিষ্ট অর্থবর্ষের ভিত্তিতে আয়করদাতাদের কর প্রদান করা। তবে এখনো পর্যন্ত যাদের আয় কর যোগ্য নয় তারা ITR ফাইল করে রাখেন না। আয় কর জমা করতে হয় না বলে তাদের ITR ফাইল এর প্রয়োজন পরে না। কিছু বিশেষজ্ঞ দের মত অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তি যদি আয় না থাকা সত্ত্বেও ITR ফাইল করে রাখেন তবে তিনি অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা লাভ করতে পারবেন। ITR ফাইল করে জিরো রিটার্ন করার এই পদ্ধতিকে বলা হয় Nil ITR Filing। নিম্নে এই প্রতিবেদনে বিশেষ সুবিধাগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ITR ফাইল করলে যে বিশেষ ৫ টি সুবিধা পেতে পারবেন সে সম্পর্কে জানুন:
আয়কর দপ্তরের কাছে যদি কোনো ব্যাক্তি Nil ITR Filing করে রাখেন তাহলে তার অর্থ হলো ওই ব্যাক্তির আয় কর যোগ্য নয়। এই কারণ বশত আর্থিক বছরে ওই ব্যাক্তিটি সরকারের কাছে কোনো কর প্রদান করে নি। এই জিরো রিটার্ন ফাইল করা কোনো বাধ্যতামূলক নিয়ম বা নীতি নেই। তবে যদি কেউ এই ফাইল করে রাখেন তবে তিনি ৫টি বিশেষ সুবিধা পেতে পারবেন। সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
মোটা টাকার বীমা পলিসি লাভ করার সুবিধা :
৫০ লাখ বা ১ কোটি টাকার বীমা পলিসি কিনতে গেলে ITR ফাইল দেখানো অবশ্যই প্রয়োজন। যেমন বলা যেতে পারে অনেক সময় LIC বা অন্য কোনো বীমা সংস্থা থেকে মোটা টাকার বীমা কিনতে গেলে সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ITR সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হবে। এর পর গ্রাহকদের ITR ফাইল এর কপি দেখে সেই সংস্থা ঠিক করবে ওই ব্যাক্তিকে মোটা টাকার বীমা পলিসি দেওয়া সম্ভব কিনা।
সহজে ভিসা লাভ করার সুবিধা (Nil ITR Filing):
দেশের বাইরে যে কোনো কাজের জন্যই হোক না কেন অন্য দেশে যেতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন হয় ভিসার। এছাড়া ভিসা প্রদানের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় যে ব্যাক্তি অন্য দেশে যেতে চাইছেন তার আর্থিক অবস্থার ও পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে কাজ করে ITR রিটার্ন এর প্রমান পত্র। এক্ষেত্রে ভিসার জন্য আবেদনকারী ব্যাক্তি যদি আয়হীন হয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে তার বাবা মা বা অন্য কোনো অভিভাবকের ITR ফাইলের কপি দেখতে হবে।
ব্যাবসা শুরু করার সুবিধা:
কোনো নতুন ব্যাবসা শুরু করতে গেলে তার জন্য সরকারি দপ্তর থেকে ডিল পেতে হয় এবং ঠিক সেই কারণে লাগে ITR ফাইল এর কপি। এটি তখন একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হিসেবে কাজ করে। যদি কোনো সরকারি প্রকল্পের কন্ট্রেক্ট নিতে হয় তাহলে কম পক্ষে ৫ বছরের ITR ফাইল (Nil ITR Filing) এর কপি জমা করতে হয়। এই কপি জমা করলে তারপর সরকার সিদ্ধান্ত নিবে যে ওই গ্রাহক কে ব্যবসার ডিল দেওয়া যাবে কিনা।
সহজে লোন পাওয়ার সুবিধা (Nil ITR Filing):
হঠাৎ যদি কোনো ব্যাক্তির লোন এর প্রয়োজন হয় তাহলে তিনি প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে আবেদন করেন। ব্যাক্তিটির জমি, ব্যাবসা, গাড়ি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট সুদের হরে লোন দিয়ে থাকে। তবে এখন যে শুধু ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাওয়া যায় তা কিন্তু নয়, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গুলি থেকেও লোন পাওয়া যায়। লোন নিতে গেলে প্রথমে ব্যাক্তির কাছ থেকে তার আয় এর প্রমাণপত্র চাওয়া হয়। আর যদি তিনি চাকুরীজীবি হন তাহলে তার বেতনের স্লিপ চাওয়া হয়। আর যদি তার কোনো আয় না থাকে তাহলে তার জিরো ITR ফাইল (Nil ITR Filing) এর প্রমাণপত্র দেখতে হয়, তবেই আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়। তবে এক্ষেত্রে বিগত ৩ বছরের ITR ফাইল এর কপি সংস্থার কাছে জমা করতে হয়।
ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাবহার (Nil ITR Filing):
বর্তমান দিনে অনেকে এই আয় কর ফাইল সম্পন্ন করেন অনলাইন এর মাধ্যমে। যদি ম্যানুয়ালি এটি ফিল UP করা হয় তাহলে আয়কর রিটার্ন কপি গ্রাহকের ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। আয়কর ফাইল করলে ব্যাক্তির আয় এর পাশাপাশি ঠিকানাও নিশ্চিত হয়ে যায়।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন
আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
আমাদের Twitter | Follow Us |
আমাদের Instagram | Join Us |
আমাদের YouTube | Follow Us |
আমাদের LinkedIn | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |